শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সংসদ সদস্য নেছার আহমদ এমপি বলেছেন, ‘সমাজে কিছু মানুষের কারণে ভালো পরিবারের ছেলেমেয়েরা রাজনীতিতে আসছে না।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে সোনার মানুষের প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ গড়তে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে, ভালো ছেলেমেয়েদের রাজনীতিতে আসতে হবে।’
মেধাবী ও ভালো পরিবারের ছেলেমেয়েরা রাজনীতিতে না আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কথাটা একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। কারণ হলো পরিবেশ। আমি আহ্বান রাখবো, এখানে যদি আমরা ভালো মানুষকে আগ্রসর করে দিতে না পারি। ভালো ছেলেমেয়ে এগিয়ে যদি না আসে তাহলে পরিবেশ সুন্দর বা সোনার মানুষ কোথায় পাবো। এটা অত্যন্ত প্রয়োজন।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী ‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী’ মেলায় সোমবার (২১ মার্চ) রাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ।
স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্দেশ্যে নেছার আহমদ এমপি বলেন, যাদের টাকা খরচ করে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সামর্থ্য নাই, তারাই সরকারি হাসপাতালে যান। কিন্তু হাসপাতালে সাধারণ মানুষ অনেক সময় সঠিক সেবা পান না। অনেক সময় ডাক্তার যে ঔষুধ লিখে দেন সেটা পরিপূর্ণভাবে দেওয়া হয়না। আবার অনেক সময় যেভাবে দেওয়া হয়, মনে হয় যেন তাদেরকে করুণা করা হচ্ছে। যিনি দিচ্ছেন তিনি যেন নিজের পকেটের টাকা খরচ করে দিচ্ছেন। কিন্তু একটি শিশুর জন্মের পর থেকেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নেছার আহমদ এমপি বলেন, ‘আসুন যার যার ডিপার্টমেন্টে যে সংকট রয়েছে তা সমাধান করি।’
সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মৌলভীবাজারের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার সদরের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার খান, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদুজ্জামান, ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুম মনির প্রমুখ।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘স্বাস্থ্য খাতে চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও অর্জন’।
আলোচনা সভা শেষে গান পরিবেশন করেন হীড বাংলাদেশ-এর শিল্পীরা।